বাইতুল মুকাদ্দাস, বা বর্তমানে যেটা মসজিদ আল-আকসা, ফিলিস্তিনের জেরুজালেম অবস্থিত একটি অন্যতম পবিত্র
স্থান।
è এটিই হলো মুসলমানদের প্রথম
ক্বিবলা এবং মক্কা মুকাররমাহ ও মদিনা মুনাওয়ারার পরে তৃতীয় পবিত্র স্থান। ।
è এই স্থানেই রাসূল (সাঃ) –এর ইমামতিতে হযরত আদম (আঃ) থেকে হযরত ঈসা (আঃ)
পর্যন্ত সকল নবী-রাসূলগণ সালাত আদায় করেছিলেন।
è হযরত ইব্রাহীম (আঃ) যখন
ফিলিস্তিনে
è এই জান্নাতি পাথরখানার নাম “সাখরাতুল্লাহ”।
è হযরত ইবরাহীম (আ.) কাবাঘর
নির্মাণের ৪০ বছর পর হযরত ইয়াকুব (আ.) জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদ নির্মাণ করেন।
è বাইতুল মুকাদ্দাস মসজিদ
আল-আকসা –এর পুনঃনির্মাণ কাজ শুরু
করেন হযরত দাউদ (আঃ)।
è বাইতুল মুকাদ্দাস মসজিদ
আল-আকসা –এর নির্মাণ কাজ শেষ করেন
হযরত দাউদ (আঃ)-এর পুত্র হযরত সুলাইমান (আঃ)।
è হযরত সুলাইমান (আঃ)-এর জিন
জাতইকে নির্মাণ কাজে নিয়জিত করেন।
è নির্মাণ কাজ মোটামুটি শেষ
হলে হযরত সুলাইমান (আঃ) আল্লাহ্র দরবারে শোকরিইয়া আদায় করেন, এবং দোয়া করে বলেন, “হে আমার রব! যে ব্যক্তি এ মসজিদে প্রবেশ করবে তার জন্য আপনার কাছে
৫টি জিনিস কামনা করি-
১. কোন গুনাহগার ব্যক্তি তওবার
উদ্দেশ্যে এ মসজিদে প্রবেশ করে তওবা করলে আপনি তার গুনাহ মাফ করে দিবেন,
২. কোন বিপদগ্রস্ত ব্যক্তি
বিপদ হতে মুক্তি লাভের আশায় এ মসজিদে প্রবেশ করলে আপনি তাকে আশ্রয় দিন এবং বিপদ
হতে হেফাজত করুন,
৩. কোন রুগ্ন কোন ব্যক্তি এ
মসজিদে প্রবেশ করলে আপনি তাকে রোগ মুক্ত করুন,
৪. কোন সম্পদহীন কেউ প্রবেশ
করলে আপনি তাকে সম্পদশালী করে দিন,
৫. কোন ব্যক্তি এ মসজিদে
অবস্থান করা পর্যন্ত আপনি তার প্রতি অনুগ্রহ ও রহমতের দৃষ্টি রাখুন। তবে যারা
জুলুম করে বা কোন বদদ্বীন কার্যে লিপ্ত হয় তাদের ছাড়া।
è এ পবিত্র ঘর থেকেই
খাতামুন্নাবীয়ীন হযরত মুহাম্মদ (সা.) মিরাজে গমন করেছিলেন।
è বায়তুল মুকাদ্দাস মসজিদ এবং
তার আশপাশের এলাকা বহু নবীগণের স্মৃতি বিজড়িত, এখানে রয়েছে অসংখ্য নবী-রাসূলের মাযার।
è
নবী (সা.)মদীনাতে হিজরাতের
পূর্ব পর্যন্ত এটিই ছিল মুসলমানদের কিবলা। নবী (সা.)মদীনাতে হিজরাতের পরেও ষোল মাস
ঐ দিকে ফিরেই নামায আদায় করেছিলেন৷
è রজব মাসের মধ্যবর্তী সময়ের
দিকে হিজরতের পরে ষোল মাস পূর্ণ হয়েছিল, নবী (সা.)'বনী সালামহ্' (আহ্যাব মসজিদের এক কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত) নামক
মসজিদে জামা'তের সাথে যোহরের নামায আদায়
করছিলেন৷ এমন সময় দুই রাকা'ত নামায আদায় শেষে জিব্রাঈল
(আ.) সূরা বাকারার ১৪৪ নং আয়াতটি নিয়ে নাজিল হলেন ৷ নবী (সা.) ঐ অবস্থাতেই কা'বার দিকে ঘুরে যান যারা তাঁর পিছনে নামায পড়ছিল
তারাও ঘুরে গেল৷ আর এভাবেই যোহরের নামাজের পরবর্তী দুই রাকা'তকে কা'বার দিকে ফিরে আদায় করে শেষ
করলেন৷ সে জন্যেই এই মসজিদ পরবর্তীতে 'মসজিদে যু-কিবলাতাইন' অর্থাৎ দুই কিবলা বিশিষ্ট মসজিদ নামে বিশেষ পরিচিত
পায়৷
è হযরত আনাস ইবনে মালিক
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “কোন ব্যক্তি যদি ঘরে নামায পড়ে তবে তার এক নামাযে-
এক হাজার সওয়াব পাবে। আর যদি পাঞ্জেগানা মসজিদে নামায পড়ে তবে এক নামাযে- পঁচিশ
নামাযের সওয়াব পাবে। আর যদি জুমুয়ার মসজিদে এক নামায পড়ে তবে পাঁচশ’ নামাযের সওয়াব পাবে আর যদি মসজিদুল আক্বসায় পড়ে
তবে পঞ্চাশ হাজার নামাযের সওয়াব পাবে। আর মসজিদুন নববী শরীফ-এ এক নামায পড়ে তবেও
পঞ্চাশ
হাজার নামাযের সওয়াব পাবে। আর যদি ক্বাবা শরীফ-এ এক নামায পড়ে তবে এক লাখ
নামাযের সওয়াব পাবে। (ইবনে মাজাহ,
মিশকাত
শরীফ)
è ঐতিহাসিক এ মসজিদটির আয়তন
সাড়ে তিন হাজার বর্গমিটার। আর এ মসজিদে পাঁচ হাজার মুসল্লি একসাথে নামাজ পড়তে
পারেন।
è বর্তমানে ইহুদীবাদী ইসরাইল
এ ঐতিহাসিক মসজিদটি দখল করে রেখেছে। ১৯৬৯ সালে তারা একবার আল আকসা মসজিদে
অগ্নিসংযোগও করেছিল। আল আকসা মসজিদের অর্থ হচ্ছে ‘দূরবর্তী মসজিদ'।
No comments:
Post a Comment